Monday, March 22, 2021

বাংলাদেশের চাকরির বাজারের চেয়ে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা বেশি

বাংলাদেশের চাকরির বাজারের চেয়ে চাকরির প্রার্থীর সংখ্যা বেশি


বাংলাদেশের চাকরির বাজার বেস আলোচিত। এখানে বেসরকারি চাকরির চেয়ে সরকারি চাকরির চাহিদা বেশী। তাই বাংলাদেশের সরকারি চাকরির বলা হয়া থাকে সোনার হরিণ। এই সোনার হরিণ ধরতে বাংলাদেশের বেকার যুবকরা মরিয়া। সরকারি নিম্ন শ্রেণীর চাকরির পাওয়ার জন্য এদেশের বেকার যুবকরা বড় অংকের ঘুষ পর্যন্ত দিয়ে থাকে। তবুও সরকারি চাকরির পাওয়া যায়না। তাই বাংলাদেশের মানুষের শক্ত ধারণা হয়ে গেছে ঘুষ ছাড়া সরকারি চাকরি পাওয়া যায়না। তাই অনেকে অযথা টাকা খরচ না করতে সরকারি চাকরির বাদন পর্যন্ত করেন না। কারণ আবেদন করতে বেশ কিছু টাকা খরচ হয়। যেমন আবেদন ফি, আবেদন করতে কম্পিউটারের দোকানের ফি, যাতায়াত খরচ তারপর আবার সময়ের অপচয়। তারপর যদি ঢাকায় ইন্টারভিউ হয় তবে, গাড়ি ভাড়া, থাকা খাওয়া সহ অনেক খরচ পরে যায়। যা এদেশের সাধরণ একজন সরকারি চাকরির প্রার্থীর জন্য বিশাল বলা যায়।


অনেকে আবার সরকারি চাকরির আশা ছেরে দিয়ে বেসরকারি চাকরির খোজ করে থাকেন। কিন্তু এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা অভিজ্ঞতা। বেসরকারি কোম্পানিগুলি অভিজ্ঞতা ছাড়া খুব একটা জনবল নিয়োগ দেয়না। তাই যারা নতুন বা সদ্য পাস করে বের হওয়া তাদের জন্য চাকরির পাওয়া বড় কঠিন হয়ে যায়। 


সরকারি বেসরকারি চাকরির বেলা এই বড় দুই সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশের বেকার যুবসমাজ বেস বেকায়দায় আছেন। খুজে পাচ্ছেন না এই সমস্যা থেকে বের হয়ার উপায়।


বাংলাদেশের মানুষকে বলা হয়ে থাকে মানব সম্পদ। যদিও এই মানব সম্পদের যথাযত ব্যবহার করা হচ্ছেনা এই দেশে বলা চলে বেকারত্বের হার দেখে। এই বেকারত্বের হারের মাঝে সবচেয়ে বেশী হচ্ছে উচ্চ শিক্ষিতরা। অথচ এই উচ্চ শিক্ষতরাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মানব সম্পদ।


বাংলাদেশের মানব সম্পদের জন্য সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্য। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশী রেমিটেন্স পেয়ে থাকে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত প্রবাসীদের শ্রমের মূল্য পাঠানোর মাধ্যমে। এই রেমিটেন্সকে বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশের মূল চালিকা শক্তি। 


কিন্তু বেস কয়েক বছর যাবত মধ্যপ্রাচ্যে প্রায় দেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বন্ধ বাংলাদেশের জন্য। খুলা আছে অল্প কয়েকটা দেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। মধ্যপ্রাচ্যের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বন্ধ থাকায় বাংলাদেশের বেকারত্বের হার বৃদ্ধিতে বেস অবদান আছে। ধারণা করা হয় মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খুলে দিলে বাংলাদেশের বেকারত্বের হার অর্ধেকে নেমে আসবে।


সরকারি বিগত বেস কয়েক বছর ধরে বেস কয়েকটি ইকোনোমিক্স জোন ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণ করেছে। আরো করছে বেস কয়েকট যাতে বাংলাদেশের বেকারিত্বের হার বাড়ার লাগাম টেনে ধরা যায়। কিন্তু তা বাংলাদেশের বেকারত্বের তুলনায় খুব কম বলা যায়। 


বাংলাদেশের যুবসমাজের ধারণা মধ্যপ্রাচ্য সহ ইউরোপের দেশগুলির ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খুলে গেলে বাংলাদেশের বেকারত্বের হার একেবারেই নেমে যাবে। বেড়ে যাবে বাংলাদেশের বৈদেশিক মূদ্রার হার। আর উচ্চ শিক্ষিতরা যারা বিসিএস বিসিএস করে নিচের বয়স বাড়িয়ে ফেলছেন তাদেরকে যদি বিদেশে সরকারি ভাবে যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থান দেওয়া যায় তবে খুব দ্রুত বাংলাদেশের বেকারত্বের হারের সাথে শিক্ষিত বেকারত্বের কমে যাবে। 

No comments:

Post a Comment

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। খুব শীঘ্রই আপনার উত্তর দেওয়া হবে।

Recent Job circular 2023 - চাকরির খবর ২০২৩ - জব সার্কুলার ২০২৩ - নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ - Job Circular


Recent Posts Widget

Categories

বাংলাদেশ বিমানবাহিনী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি (10) বাংলাদেশ রেলওয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি (10) বিদেশের ভিসা ও চাকরির খবর (60) বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি (12) বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি (39) বেসরকারি চাকরির খবর (526) ব্যাংকের চাকরির খবর (43) মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি (15) মার্কেটিং নিয়োগ (56) মেডিক্যাল ও ফার্মাসিউটিক্যালস (16) রেলওয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি (4) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ (88) সরকারি চাকরির খবর (748) সাপ্তাহিক কর্মক্ষেত্র পেপার (2) সাপ্তাহিক কর্মসংস্থান পেপার (2) সাপ্তাহিক চাকরির খবর পত্রিকা (728) সাপ্তাহিক চাকরির ডাক পত্রিকা (172) সাপ্তাহিক চাকরির সংবাদ পত্রিকা (12) সিকিউরিটি গার্ড/সুপারভাইজার (24) সিটি কর্পোরেশন চাকরির খবর (12) সেনাবাহিনী চাকরির খবর (37)