অবশেষে ১৪ লাখ টাকায় বিক্রি হলো সেই ‘ভাগ্যরাজ’
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় আজ শনিবার সকালে ভাগ্যরাজকে ১৪ লাখ দশ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন খামারি ইতি আক্তার। বিক্রির বিষয়টি ইতি আক্তার নয়া দিগন্তকে নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকার মিরপুর ১০ নম্বরের এক বাসিন্দার কাছে ভাগ্যরাজকে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। গত বছর ২০ লাখ টাকায় দাম হলেও বিক্রি হয়নি ভাগ্যরাজ। এবার হতাশা নিয়ে আরো কমেই তা বিক্রি করে দিয়েছেন।
‘ভাগ্যরাজ’ কোনো ব্যক্তি নয়। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দেলুয়া গ্রামের খাইরুল ইসলাম খান্নু’র পালিত এক ষাঁড়। এবছরে দেশের সর্ববৃহৎ কোরবানির পশু বলে মনে করা হচ্ছে এই ষাঁড়টিকে। ভাগ্যরাজকে নিয়ে নয়া দিগন্তে গত ৯ জুলাই ‘কুরবানির হাট কাঁপাবে সেই ভাগ্যরাজ’ এ নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে গরুটি সারাদেশে ভাইরাল হয়।
খামরি ইতি আক্তার জানায়, আট ফুট লম্বা, ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতা, বুকের বেড় ১২০ ইঞ্চি আর ওজন ২ হাজার ৯৪ কেজি! নাম তার ভাগ্যরাজ! বেশ জামাই আদরেই পালন করা হয়েছিল ৩ বছর ৮ মাস বয়সী ভাগ্যরাজকে। জানা গেছে, বৃহদাকার এই ষাঁড়ের জন্য প্রতিদিনের বাজেট ছিল প্রায় ২ হাজার টাকা। খাবারের মেন্যুতে ছিল কলা, মাল্টা, কমলালেবু, চিড়া, আঙুর ফল, আখের গুড়, ইছব গুল, খৈল ও বেলের শরবতসহ আরও অন্যান্য দামী খাবার দাবার।
শুধু আদর যত্নেই নয় ভাগ্যরাজের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য রাখাছিল সার্বক্ষণিক চিকিৎসক। নিরাপত্তার স্বার্থে রাতে পুলিশ টহল দিতো বাড়ির চারপাশের রাস্তায়। সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মনির হোসেন বলেন, বয়স ৩ বছর ৮ মাস বয়সী ভাগ্যরাজকে ১৪ লাখ দশ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে মিরপুরের এক বাসিন্দার কাছে। করোনাভাইরাস ও বন্যা পরিস্থিতি না থাকলে আরো বেশি দামে বিক্রি করতে পারতেন খামারি ইতি আক্তার। সূত্র: নয়াদিগন্ত।
টাগ সমূহঃ
No comments:
Post a Comment
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। খুব শীঘ্রই আপনার উত্তর দেওয়া হবে।